সূচনা

بسم الله الرحمن الرحيم

যাবতীয় প্রশংসা জগতসমূহের, সমগ্র সৃষ্টিকুলের এবং পুরো বিশ্বজগতের প্রতিপালকের জন্য। তিনিই একমাত্র প্রতিপালক যিনি একাই পুরো বিশ্বজগত এবং সমগ্র সৃষ্টিকুলকে সৃষ্টি করেছেন, কারও সাহায্য ও কোনো উপাদান ছাড়াই। তিনি সমগ্র সৃষ্টিকুলের এবং সাত আসমানে যা কিছু আছে এবং পুরো বিশ্বজগত ও তার বাইরে সবকিছুর একচ্ছত্র অধিপতি।

দীর্ঘদিন ধরেই, বিচার দিবসের জ্ঞান সম্পর্কে বৈজ্ঞানিক ও যৌক্তিক গবেষণার প্রয়োজনীতা দেখা দিয়েছে। আল্লাহ্‌র রহমতে, মুসলিম উম্মাহ এ ব্যাপারে সমৃদ্ধ এবং এ ব্যাপারে অনেক গবেষণা করা হয়েছে। বিশেষ করে, পাকিস্তানের ড. ইসরার আহমেদ[1]ড. ইসরার আহমেদ স্বীকৃত ওয়েবসাইট উম্মতকে এ ব্যাপারে সচেতন করতে আল্লাহ ﷻ রহমতপ্রাপ্ত হয়েছেন; এবং এ সত্য সম্বন্ধে সচেতন করতে যে ১৫ই ইসলামি চান্দ্র শতাব্দীই হলো মুসলিম উম্মাহর সর্বশেষ শতাব্দী, এবং এর পরেই পৃথিবী ধ্বংস হবে।[2]মুসলিম উম্মাহর বয়স মাত্র ১৫০০ চান্দ্র বর্ষ (ইংরেজি ভিডিও)

বেশকিছু উল্লেখযোগ্য ঘটনা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সংঘটিত হয়েছে যা এ ব্যাপারটিকে আরও অধিক নিশ্চিত করে, এবং এটি এখন পরিষ্কার যে ক্বিয়ামতের সকল ছোট আলামতগুলো সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে [3]ক্বিয়ামতের ছোট আলামতগুলো সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে (ইংরেজি ভিডিও)। আমি এ সত্যটি অনুধাবন করেছি গত ২০১৮ সালে, তখন থেকেই ধীরে ধীরে এ ব্যাপারে মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করছি। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে, এটি জনসাধারণের মনোযোগ অর্জন করেছে এবং অনেক মুসলিমই এখন এটিকে গুরুত্বের সাথে নিচ্ছে এবং এতে মনোযোগ দিচ্ছে। এ কারণে, সত্যগুলো এবং সঠিক দলিলগুলোকে উন্মোচিত করা এবং যুক্তি ও কারণসহ এ ব্যাপারটি প্রমাণ করা প্রয়োজনীয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এটি সবারই জানা যে ক্বিয়ামতের পূর্বে, পুরো পৃথিবী শান্তি ও ন্যায়পরায়ণতা দিয়ে পরিপূর্ণ হয়ে যাবে এবং আল্লাহ ﷻ কর্তৃক মনোনীত বান্দারা আল্লাহ্‌র বিধান অনুযায়ী পৃথিবী শাসন করবে। মুসলিমরা এটিকে একটি সত্য হিসেবে জানে যে এই বৈশ্বিক বিধান ইমাম মাহদীর নেতৃত্বে অর্জিত হবে।

রাসূল ﷺ কিছু হাদিস (অনেকের মতে দুর্বল হলেও শাইখ আল্বানির মতে সহিহ) থেকে এটি বোঝা যায় যে প্রাচ্যের লোকেরা কালো পতাকা নিয়ে আসবে ইমাম মাহদীকে সাহায্য এবং তাঁর সরকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য [4]প্রাচ্যের লোকেরা ইমাম মাহদীর শাসন প্রতিষ্ঠা করবে (অনেকে দুর্বল বললেও শাইখ … Continue reading। এটি থেকে ধারণা করা যেতে পারে যে প্রাচ্যের কোনো স্থানে রাসূল ﷺ মূলনীতি অনুযায়ী পরিচালিত একটি খিলাফত প্রতিষ্ঠিত হয়ে যাবে।

মদিনা রাষ্ট্রটি রাসূল ﷺ সরাসরি নেতৃত্বে ও তত্ত্বাবধানে প্রতিষ্ঠিত হয়। কিছু দশক পর এটি রাজতন্ত্রে অবনমিত হয়। তারপর থেকেই অনেকগুলো মুসলিম রাজত্ব চলে এসেছে কিন্তু কোনোটিই মদিনার অনূরূপ ইসলামি রাষ্ট্র ছিল না। প্রায় ১৩০০ বছর পর, পাকিস্তান নামে একটি রাষ্ট্র মদিনা রাষ্ট্রের মূল ভিত্তি অনুযায়ী প্রতিষ্ঠিত হয় [5]আগামী লেখাগুলোতে আমার এটি ব্যাখ্যা করবার পরিকল্পনা রয়েছে। তাই আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে ইমাম মাহদী মক্কায় বায়’আত নেবার পূর্বে পাকিস্তানে মদিনা রাষ্ট্রের অনূরুপ একটি খিলাফত ব্যবস্থা থাকবে। এটা সে সময় হবে যখন পাকিস্তান সেনাবাহিনী কালো পতাকা নিয়ে ইমাম মাহদীকে সাহায্য এবং তাঁর বৈশ্বিক বিধান প্রতিষ্ঠার জন্য আগমন করবে।

আল্লাহ্‌র রহমতে, আমি উপর্যুক্ত ধারণা ও বাস্তবতাগুলো আমার বিভিন্ন বক্তব্যে ব্যাখ্যা করে আসছি। কিন্তু যেহেতু সামাজিক মাধ্যমগুলোর অধিকাংশই ‘অন্যান্য’দের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত, তাই এগুলোতে সবকিছু খুলে বলাটা কঠিন। তাছাড়াও প্রচলিত সামাজিক মাধ্যমগুলোতে এতো কিছু আলোচিত হয় যে, একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোচনাকে অত্যন্ত হই-হট্টগোলের মধ্যে সামান্য ফিসফিসানির মতো শোনায়। তাই আমরা এই ওয়েবসাইটটি চালু করেছি যেখানে আমরা আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি যতটা সম্ভব বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করবো; এবং নিজেদের মতকে বাস্তবতা, চিত্র ও দলিল-প্রমাণসহ ব্যাখ্যা করবো ইনশাআল্লাহ [6]ইনশাআল্লাহ/ انشاءاللہ অর্থ ‘যদি আল্লাহ চান'

খেয়াল করবেন আমাদের এ কাজের কোনোই স্বত্ব নেই। আপনি এগুলো আপনার ইচ্ছামত নতুন করে তৈরি, প্রকাশ এবং প্রচার করতে পারেন। আমাদের দিকে সম্পর্কযুক্ত করার কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। আমরা কোনো প্রকার বাধা ছাড়া সত্য প্রচারের পক্ষপাতী।

আল্লাহ ﷻ আমাদের এই প্রচেষ্টায় আন্তরিকতা দান করুন, আমাদেরকে তাঁর রহমত দ্বারা ধন্য করুন এবং এই শেষ সময়ে আমাদের সৎকর্মশীলদের অন্তর্ভুক্ত করুন।

সবাইকে সালাম,

আওয়াইস নাসির

১৩ জুলাই, ২০২২ / ১৩ যুল-হিজ্জাহ ১৪৪৩ হিজরি